২১ জুলাই ২০২৫ - ০৪:২২
ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাথে বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা বন্ধ করলো ফ্লোরেন্স বিশ্ববিদ্যালয়

ইতালির ফ্লোরেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যদের অনুরোধে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়টির বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা বন্ধ করা হয়েছে।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা):পার্সটুডে সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে: ইতালির ফ্লোরেন্স বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক একাডেমিক কাউন্সিল সদস্য, গবেষক এবং শিক্ষার্থীর অনুরোধ, ইহুদিবাদী ইসরাইলের বেশ কয়েকটি বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানের সাথে তাদের সহযোগিতা বন্ধ করা হয়েছে।


ইরনা'র বরাত দিয়ে পার্সটুডে আরও জানায়, ফ্লোরেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে এই পদক্ষেপটি 'একাডেমিক বয়কট' আকারে এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনে যা ঘটছে তার প্রতিবাদে নেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে: বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যা ঘটছে তার বিরোধিতা করার মাধ্যম হিসেবে বেশ কয়েকটি ইসরাইলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বিদ্যমান চুক্তি স্থগিত বা বাতিল করেছে।

ফ্লোরেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদকর্মী, গবেষক এবং শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষরিত আবেদনপত্রে, সমগ্র শিক্ষা সম্প্রদায়কে গাজার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলি অপরাধের জন্য সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ওই আবেদনে আরও বলা হয়েছে: আমরা বিশেষ করে গাজা উপত্যকার স্কুলগুলোতে চলমান ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানাই। গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের শিক্ষার সুযোগ ক্রমশ ঝুঁকির মুখে পড়ছে বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে সংবাদ সূত্রে জানা গেছে যে ডাবলিনের মর্যাদাপূর্ণ ট্রিনিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড গাজা যুদ্ধের সময় ইহুদিবাদী ইসরাইল কর্তৃক আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে ইসরাইলি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোম্পানিগুলোর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে সম্মত হয়েছে।

এই সিদ্ধান্তে শিক্ষা, গবেষণা, বাণিজ্যিক সহযোগিতা বন্ধ করার পাশাপাশি ইসরাইলি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে বিনিয়োগ এবং ছাত্র বিনিময় চুক্তি বাতিল করার কথাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুসারে, ট্রিনিটি বিশ্ববিদ্যালয় আর ইসরাইলি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সহযোগিতা স্বাভাবিক করবে না।

গাজা যুদ্ধের কারণে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয় অধিকৃত ফিলিস্তিন তথা ইসরাইলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha